ইউটিউব থেকে ২ ঘন্টা ৫৬ মিনিটের অডিওবুকটি শুলাম। তবে এটা খালি অডিওবুকই নয় এর থেকে বেশী কিছু। বইটার ব্যাকগ্রাউন্ডে একটা মিউজিকও ছিল। ব্যাকগ্রাউন্ডের মিউজিকের সাথে বইটি শুনে, পুরো হিল হয়ে গেলাম।
হিল হবার যথেষ্ট কারণও আছে, নিত্যদিনকার বয়ে চলা চিন্তার স্রোত যখন ধীর হয়ে যায় মন তখন শান্ত হয়। অবারিত এক শান্তির ফল্গুধারা হৃদয়ে প্রবাহিত হয়। এজন্য স্লো মিউজিক কার্যকরী। তার উপর শুনুরু সুজুকী’র এই জেন বইটির নির্বাণ সম্পর্কে সহজ সরল আলোচনা থাকলে তো কথাই আর থাকে না।
খালি বসে বসে দেখো। নিজের মনকে সবসময় মূর্খ রাখো যেন কিছুই জানো না। মনকে এমন রাখো যেমনটা মন তোমার শুরুতে ছিল খালি। একজন জেন অনুশীলনকারীর মন সবসময়ই বিগিনার স্টেজেই থাকে, স্বচ্ছ, খালি, শূন্য। তাই প্রকৃতি থেকে শেখো। শেখো ব্যাঙের কাছ থেকে। ব্যাঙ হও। সম্পূর্ণ জাগ্রত থাকো।
বুদ্ধকে ঘিরে গড়ে ওঠা “নির্বাণ” কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জেন পিলপিল গতিতে এগিয়ে চলে জলের মত, বাঁশোর হাইকুর মত, লাওৎসুর ডাও ডে চিং এর মত, বুদ্ধের শান্তভঙ্গির মত, মহাকাশ্যপের লাভ করা পদ্মের মত এ জেন এগোতে থাকে আবার এগোয় না।
আমিকে খুঁজে বেড়াচ্ছি। কিন্তু সে যে কোথায় লুকাইলো ও এই লোকটি যে তা বড় আশ্চর্যের বিষয়! আমি হারিয়ে যা হল একে কীই-বা বলা যায় বলুন। এখন যাকে দেখছেন সে তো অন্য কাজ করে বেড়াচ্ছে, তার পরিচয়ও নিশ্চয়ই বদলে গেছে। তাহলে আপনি কাকে দেখছেন?
দেখছেন আপনাকে আপনার চিন্তাকে যা আপনাকে আমাকে দেখাচ্ছে বা কল্পনা করাচ্ছে। তাহলে শুধু শুধু পরিচয় জেনে কী হবে বলুন। তার চেয়ে বরং কিছু সাইকোলাপ-ই পড়ুন ও নিজেকে হারিকেন নিয়ে খুঁজতে বেরিয়ে পড়ুন। পথিমধ্যে হয়ত কোথাও দেখা হয়েও যেতে পারে!!! সে পর্যন্ত-
কিছু কথা পড়ে থাকুক জলে ভেজা বিকালে
খুঁজে চলুক এই আমি পিলপিল করে
অনন্ত "আমি" র অদৃশ্য পর্দার আড়ালে